Bengali Meaning of Tales of Bhola Grandpa, Class IX, West Bengal. Take exam preparation for doing a very good result. Read regularly and do an excellent result. Tales of Bhola Grandpa is written by Manoj Das.
“টেলস অফ ভোলা গ্র্যান্ডপা” গল্পটির বাংলা মানে। নবম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত পড়ো আর ফাইনাল পরীক্ষার জন্য যথাযথ ভাবে প্রস্তুতি নাও। নবম শ্রেণী ও অন্যান্য শ্রেণির ইংরেজি বিষয়ের সমস্ত পিসগুলির বাংলা মানে, বিস্তারিত আলোচনা, প্রশ্ন উত্তর পেতে নিয়মিত সঙ্গে থাকো onlineexamgroup.com এর।
Read this page angain and again.
ভোলাদাদু এবং তার স্ত্রী আমাদের গ্রামের পশ্চিম প্রান্তে বাস করত। একটা বিশাল বড় বকুল গাছের ছায়ায় ঢাকা ছিল তাদের কুঁড়েঘর। কিছু বানর সেই বকুল গাছে থাকত। ভোলা দাদু এবং তার স্ত্রী এটাতে কিছুই মনে করতেন না।
এক চন্দ্রালোকিত রাতে, আমরা একটি উৎসব থেকে ফিরছিলাম। রাস্তাটি ছিল দীর্ঘ এবং কুয়াশাচ্ছন্ন। আমি চেপে আসছিলাম গ্রামের চৌকিদারের কাঁধে। হঠাৎ ভোলাদাদু জোরে চিৎকার করে উঠলেন। আমাদের দলের প্রত্যেকেই বিস্মিত বা অবাক হয়েছিল। আমরা থামলাম। অনুসন্ধান করে জানা গেল যে ভোলা দাদু তার নাতিকে উৎসবে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি শক্ত করে ধরে ছিলেন ছেলেটির (অর্থাৎ তার নাতির) আঙ্গুলগুলি। তিনি বুঝতে পারেন নি কখন সেই আঙ্গুলগুলি ফসকে গিয়েছে। ভোলা দাদু আগের মতোই হেঁটে চলছিলেন। তখন কেউ ভোলা দাদু কে বলল সে কি ধরে আছে। তার মনে পড়লো তার নাতির কথা এবং জোরে চিৎকার করে উঠলেন।
আমার বাবার বেছে নিলেন দুজন তীক্ষ্ণ দৃষ্টি সম্পন্ন লোককে আমাদের পার্টি থেকে ভোলা দাদুর সঙ্গে মেলাতে ফিরে যাওয়ার জন্য। নাতিকে তাড়াতাড়ি খুঁজে পাওয়া গেল। সে একটা আরামদায়ক আশ্রয় নিয়েছিল একটি গরুর পেটের নিচে।
আমার মনে পরে আরেকটি মজার ঘটনা ভোলা দাদুর সম্পর্কে (যেটি) আমার বাবার দ্বারা বর্ণিত (অর্থাৎ আমার বাবা বলেছিলেন)। এটা ছিল একটা বৃষ্টি ভেজা বিকাল। ভোলা দাদু, উত্তেজনায় বিহ্বল হয়ে, আমার বাবা এবং তার বন্ধুদের কে বলেছিলেন যে তিনি জলদস্যুদের একটি দল দেখেছিলেন। তারা একটি বড় বাক্স মাটিচাপা দিচ্ছিল একটি বালিয়াড়ির নিচে আমাদের গ্রামের পাশে সমুদ্রের তীরে। তৎক্ষণাৎ বাবা এবং তার বন্ধুরা লুকানো সম্পত্তি খুঁজতে শুরু করলেন। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হলো। মেঘের মধ্য দিয়ে চাঁদের আলো এল। একদল শেয়াল গর্জন করছিল। মধ্যরাত্রি পার হয়ে গেল। এই সময়ে, ভোলা দাদু স্বীকার করলেন যে সেখানে কোনো সত্তিকারের সম্পত্তি ছিল না। এটা ছিল পুরোটাই একটা স্বপ্ন যেটা তিনি দেখেছিলেন দুপুরের ঘুমের মাঝে।
ভোলাদাদুর একবার সুন্দর বনে বেড়াতে গিয়ে দারুন রোমহর্ষক অভিজ্ঞতা হয়েছিল। সেকালে দিনে সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে বাঘ নিজের খেয়াল-খুশি মতো ঘুরে বেড়াত। সেই জন্য বিশেষ করে সন্ধ্যের দিকে লোকেরা দলবেঁধে চলাফেরা করত।
একদিন সন্ধ্যে বেলায় ভোলা দাদু গ্রামের সাপ্তাহিক হাট থেকে বাড়ি ফিরছিল। হঠাৎ প্রায় পাঁচ গজ দূরে পিছন থেকে, তিনি শুনতে পেলেন একটা রয়েল বেঙ্গল টাইগারের গর্জন। ভোলা দাদু করলেন এবং দেখলেন বাঘটির মুখের উজ্জ্বল চাওনি।
ভোলা দাদু সঙ্গে সঙ্গে একটি কাছের বটবৃক্ষে উঠে পড়ল। বাগটি গর্জন করতে লাগল এবং বৃত্তাকার এ গাছটির চারদিকে ঘুরতে লাগল প্রায় 100 বার। তারপর বাঘটি একটি ঝোপ এর নীচে বসলো তার থেকে চোখ না সরিয়ে। রাত্রি নামার সঙ্গে সঙ্গে, জঙ্গল টি অন্ধকার এবং নিস্তব্ধ হয়ে গেল। ভোলা দাদু শুনতে পাচ্ছিল বাঘ এটি তার লেজ দিয়ে আঘাত করছিল শুকনো পাতার উপর। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পেরিয়ে গেল।
ঘুঘু পাখির ডাকে ভোর থেকে সকাল হলো। ভোলা দাদু নেমে এলো। একটু দূরে একটা উঁচু ঢিবিতে একদল মানুষ ছিল। ভোলা দাদু টিভিতে উঠল এবং প্রথমজনকে যাকে তিনি দেখলেন তাকে অনুরোধ করলেন (বা চাইলেন) কিছুটা জল পান করার জন্য। লোকটি দেখেছিল বাঘটিকে অপেক্ষা করতে। সে ভীষণ বিস্মিত হয়েছিল। “আপনার গোপন রহস্যটা কি যে আপনি খুব সহজভাবে ক্ষুধার্ত বাঘটার পাশ দিয়ে হেঁটে বেরিয়ে এলেন এবং এটা অর্থাৎ বাঘটা কিছুই করলো না?”সে ভোলা দাদু কে জিজ্ঞাসা করল।
বাঘটি প্রসারিত করেছিল তার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ এবং হাই তুলছিল। তারপর ভোলা দাদু মনে পড়ল বাঘটির কথা এবং বাঘটির দিকে তাকালো। ভোলা দাদু ভয়ে প্রায় জ্ঞান হারালো। সে ছুটে বেড়িয়ে এলো।
অর্ধশতাব্দী পরে, ভোলা দাদু চিরকালের জন্য আমাদেরকে এক সকালে ছেড়ে চলে গেলেন 95 বছর বয়সে। তার 80 বছরের বৃদ্ধা স্ত্রী ভীষণ কান্নাকাটি করলেন। তিনি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, “বৃদ্ধ মানুষটি নিশ্চয়ই শ্বাস নিতে ভুলে গেছে।”
নবম শ্রেণীর সহ অন্যান্য ক্লাসের ইংরেজির প্রতিটি পিসের বাংলা মানে সহ বিস্তারিত আলোচনা, সমস্ত ধরনের এক্টিভেট এর প্রশ্ন ও উত্তর, গ্রামার, রাইটিং সবকিছুই পেতে নিয়মিত ভিজিট করো আমাদের ওয়েবসাইট onlineexamgroup.com