Bengali Meaning of Karma || Class XI || WBCHSE || West Bengal

Bengali Meaning of Karma. Bengali meaning of “Karma” by Khushwant Singh. “Karma” – English text 2 of the text book “Mindscape” of class 11, West Bengal.

পশ্চিমবঙ্গের একাদশ শ্রেণীর ইংরেজি টেক্স বই “Mindscape” – এর দু নম্বর পিস “Karma” – এর সম্পূর্ণ বাংলা মানে। একাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য একান্ত আবশ্যিক।

স্যার মোহনলাল নিজের দিকে তাকালেন প্রথম শ্রেণীর প্রতীক্ষালয়ের আয়নাতে রেলওয়ে স্টেশনে। আয়নাটি ছিল স্পষ্টতই ভারতে তৈরি। এর পিছনের দিকের রেড অক্সাইড উঠে গেছে অনেক জায়গাতে এবং এবং এর উপরিভাগে স্বচ্ছ কাঁচের লম্বা লম্বা লাইন টানা হয়ে গেছে।। স্যার মোহনলাল আয়নাটির দিকে তাকালেন করুণা এবং তোষামোদের (অনুগ্রহের) ভাব দেখিয়ে।

“তুমিও এই দেশের অন্য সবকিছুর মতোই অদক্ষ, নোংরা, উদাসীন” তিনি (অর্থাৎ মোহনলাল) বিড়বিড় করে বললেন।

আয়নাটি মোহনলালের দিকে ফিরে হাসলো।

“তুমি একদম ঠিকঠাকই বলেছ, বুড়ো খোকা,” এটি (অর্থাৎ আয়নাটি) বলল। “স্বতন্ত্র, দক্ষ – এমনকি সুদর্শন। ওই ছিমছাম করে কাটা গোঁফ – স্যাভাইল রো থেকে আনা স্যুট বোতাম ঘরে নকশা করা – ইউ ডি কলোনির সুগন্ধ, ট্যালকম পাউডার‌ এবং সুগন্ধি সাবান -সবকিছুই তোমাকে ঘিরে রয়েছে! হ্যাঁ, বুড়ো খোকা, তুমি ঠিকই বলেছ।

স্যার মোহন বুকটা ফুলিয়ে দিলেন (বা বুকটা এগিয়ে দিলেন), তার বেলিয়ল টাই টা অনেকবার ধরে মসৃণ করে দিলেন এবং আয়নাটিকে বিদায় জানালেন।

তিনি তার ঘড়িটির দিকে তাকালেন। তখনো সময় ছিল আর একবার তাড়াতাড়ি করে (সুরার বোতলে চুমুক দেওয়ার)।

“কেউ আছো!”

একজন বেয়ারা সাদা পোশাকে আবির্ভূত হল একটি তারের দরজা ঠেলে।

“একটা ছোট্ট,” আদেশ দিল স্যার মোহন, এবং বসে পড়লো একটা বড় বেতের চেয়ারে (সূরা) পান করতে এবং গভীরভাবে চিন্তা করতে। প্রতীক্ষালয়ের বাইরের দিকে, স্যার মোহনলাল এর ব্যাগপত্র পড়েছিল স্তূপীকৃত হয়ে দেওয়ালের গায়ে। একটি ছোট্ট ধূসর রং এর স্টিলের ট্রাঙ্কের উপর, লচমি, লেডি মোহনলাল (অর্থাৎ মোহনলালের স্ত্রী), বসেছিল পান চিবতে চিবতে এবং নিজেকে বাতাস করতে করতে একটি খবরের কাগজ দিয়ে।

সে (অর্থাৎ মোহনলালের স্ত্রী লচমি) ছিল ছোটখাটো এবং মোটা এবং তার বয়স মধ্য চল্লিশে। সে পরেছিল একটি নোংরা সাদা শাড়ি লাল পাড়ের। তার নাকের একপাশে চকচক করছিল একটি হীরের নাকছাবি, এবং তার ছিল অনেকগুলি সোনার বালা তার হাতে। সে কথা বলছিলো বেয়ারার সঙ্গে যতক্ষণ নাসের মোহন তাকে (অর্থাৎ বেয়ারাকে) ভিতরে ডাকে। যেইমাত্র সে চলে গেল, সে ডেকে নিল একজন পাশ দিকে পেরিয়ে যাওয়া রেলওয়ে কুলিকে।

“মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত কামরাটি কোথায় থামে?”

“ঠিক প্লাটফর্মের একেবারে শেষের দিকে।”

কুলিটি তার পাগড়িটি চওড়া করে নিল একটি গদি তৈরি করার জন্য, তুলে নিল স্টিলের ট্রাঙ্কটি তার মাথার উপরে, এবং প্ল্যাটফর্ম ধরে এগিয়ে চলল। লেডি লাল (অর্থাৎ মোহনলালের স্ত্রী) তুলে নিল তার তামার টিফিন বাক্সটি এবং সচ্ছন্দ গতিতে তার পিছনে পিছনে চলল। পথে সে থামল একটি হকারের স্টলের পাশে তার রুপোর পানের কৌটোটা পুনরায় ভর্তি করতে, এবং তারপর যোগ দিলো কুলির সঙ্গে। সে বসে পড়লো তার স্টিলের ট্রাংকটির উপরে (যেটি কুলিটি নামিয়ে রেখেছিল) এবং তার সাথে কথা বলতে শুরু করল।

“এই দিকের লাইনে ট্রেন গুলিতে কি খুব ভিড় হয়?”

“আজকালকার দিনে সমস্ত ট্রেনেই ভিড় হয়, কিন্তু আপনি জায়গা পেয়ে যাবেন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত কামরায়।”

“তাহলে বরং আমি খাওয়ার ঝামেলাটা মিটিয়ে ফেলি।”

লেডি লাল খুলল তামার বাক্সটি এবং বের করল এক বান্ডিল ভাঁজ হয়ে যাওয়া চাপাটি এবং কিছুটা আমের আচার। যখন সে খাচ্ছিল, কুলিটি তার বিপরীত দিকে হাঁটুর উপর ভর করে বসেছিল, নুড়ির উপর আঙুলে করে দাগ টানতে টানতে।

“আপনি একাই ভ্রমণ করছেন, দিদি (বা বোন)?”

“না, আমি আমার স্বামীর সঙ্গে আছি, ভাই। তিনি আছেন প্রতীক্ষালয়ে। তিনি ভ্রমণ করেন প্রথম শ্রেণীতে। তিনি একজন বড় অফিসার এবং ব্যারিস্টার, এবং ট্রেনেতে তার সঙ্গে দেখা হয় অনেক আধিকারিক এবং ইংরেজদের – এবং আমি কেবলমাত্র একজন স্থানীয় (বা গেঁয়ো) বা সাধারণ মহিলা। আমি ইংরেজি বুঝতে পারি না এবং তাদের ভাবভাবও জানি না, তাই আমি থাকি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত সাধারণ শ্রেণীতে।

লচমি বকবক করছিল আনন্দের সঙ্গে। সে গল্প গুজব করতে বেশ ভালোবাসতো এবং বাড়িতে তার সাথে কথা বলার কেউ ছিল না। তার স্বামীর কোন সময় ছিল না তার (অর্থাৎ লচমির) জন্য অতিবাহিত করার। সে (অর্থাৎ লচমি) বাস করত বাড়ির উপরের তলায় এবং তার স্বামী থাকতেন নিচের তলায়। তিনি (অর্থাৎ মোহনলাল) পছন্দ করতেন না তার (অর্থাৎ লচমির) গরিব অশিক্ষিত আত্মীয়দের তার (অর্থাৎ মোহনলালের) বাংলোর চারিদিকে ঘোরাঘুরি করতে, তাই তারা কখনো আসে না। তিনি উপরে উঠে আসেন তার কাছে মাঝেমধ্যে রাত্রিতে এবং থাকেন কয়েক মিনিটের জন্য। তিনি শুধুমাত্র তাকে আদেশ করেন ইংরেজদের মতো করে হিন্দুস্থানী ভাষায়, এবং সে অর্থাৎ লচমি মেনে চলে নিষ্ক্রিয়ভাবে। এই রাত্রিকালীন ভ্রমণগুলি, যাইহোক, কোন ফল দেয়নি।

সিগন্যাল এলো এবং ঘন্টার শব্দ ঘোষণা করল যে ট্রেন আসছে। লেডি লাল তাড়াহুড়ো করে তার খাবার শেষ করল। সে উঠলো, তখনও চাটতে চাটতে আমের আচারের আঠিটা। সে নির্গত করল একটি দীর্ঘ,‌‌‌‌‌‌‌‌‌ জোরে শব্দ হওয়া ঢেকুর যখন সে গেল একটা পাবলিক ট্যাপে তার মুখ পরিষ্কার করা এবং হাত ধোয়ার জন্য। ধোয়ার পর সে তার মুখ এবং হাত শুকাতো (অর্থাৎ মুছতো) তার শাড়ির আঁচল দিয়ে, এবং তার স্টিলের ট্রাংকের কাছে হেঁটে ফিরে যেত, ঢেকুর তুলতে তুলতে এবং ভগবানদের ধন্যবাদ জানাতে জানাতে সম্পূর্ণরূপে খাবার সুযোগ দেওয়ার জন্য।

টুয়েন্টি ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে (স্টেশনে) প্রবেশ করল। লচমী নিজেকে দেখল যে সে মুখোমুখি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে একটা প্রায় ফাঁকা সাধারণ শ্রেণীর মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত কামরার যেটি প্রহরীর ভ্যানের ঠিক পরে, ট্রেনের একেবারে শেষ প্রান্তে। ট্রেনের বাকি অংশ ছিল একেবারে ঠাসা। সে টেনে তুলল তার মোটাসোটা, নাদুসনুদুস চেহারাটা দরজার মধ্য দিয়ে এবং দেখতে পেল একটি সিট জানলার পাশে। সে বের করল একটি দু আনা তার শাড়ির গিঁট থেকে এবং (সেটি দিয়ে) কুলিটিকে বিদায় জানালো। সে তারপর তার পানের কৌটা খুললো এবং নিজে নিজেই পান সাজলো পান পাতায় ক্ষয়ের এবং চুন দিয়ে, কুচো সুপারি এবং এলাচ দিয়ে। এইগুলি (অর্থাৎ পানগুলি) সে গুঁজে দিল তার মুখের ভিতর যতক্ষণ না তার গালগুলি ফুলে উঠলো উভয়দিকেই। তারপর সে তার চিবুকটা রাখল তার হাতের উপর এবং বসলো অলসভাবে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে প্লাটফর্মে ঠেলাঠেলি করা ভিড়ের দিকে।

ট্রেনের আগমন স্যার মোহনলালের মনের শান্ত অবস্থার বিঘ্ন ঘটাল না। তিনি স্কচ হুইস্কিতে চুমুক দেওয়া চালিয়ে গেলেন এবং বেয়ারাকে আদেশ দিলেন তাকে বলে দিতে কখন তার মালপত্র প্রথম শ্রেণীর কামরায় বইতে হবে। উত্তেজনা, হইচই এবং তাড়াহুড়ো ছিল খারাপ জন্মের (বা খারাপ জিনিসের) প্রদর্শন, এবং স্যার মোহন ছিলেন বিশিষ্টভাবে ভালো বংশে জাত। তিনি চাইতেন সবকিছুই ঠিকঠাক থাকুক এবং সুসামঞ্জস্যপূর্ণ থাকুক। তার পাঁচ বছরের বিদেশে, স্যার‌ মোহন অর্জন করেছেন উচ্চ শ্রেণীর আচরণ এবং দৃষ্টিভঙ্গি। হিন্দি ভাষা প্রায় বলেনই না। যখন তিনি (হিন্দি ভাষা) বলেন, এটা শুনতে লাগে একজন ইংরেজের মত – কেবলমাত্র খুব প্রয়োজনীয় শব্দগুলি এবং নিখুঁতভাবে ইংরেজদের মতোই উচ্চারণ করেন। কিন্তু তিনি মনে করেন তার ইংরেজি, সম্পূর্ণ এবং মার্জিত এতটাই যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। তিনি কথোপকথন করতে ভীষণ ভালবাসেন, এবং একজন সংস্কৃতিবান ইংরাজের মতো, তিনি কথা বলতে পারতেন প্রায় যেকোন বিষয়ে -বই, রাজনীতি, জনগণ। তিনি প্রায় ইংরেজদেরকে বলতে শুনেছেন যে তিনি একজন ইংরেজের মতোই কথা বলেন!

স্যার মোহন অবাক হলেন (এটা ভেবে যে) তাকে একাকেই ভ্রমন করতে হবে কিনা। এটা ছিল একটা সেনা ছাউনি এবং কিছু ইংরেজ আধিকারিক ট্রেনে থাকতে পারে। তার হৃদয় উৎফুল্ল হল এক দারুন কথোপকথনের প্রত্যাশায়। তিনি কখনো দেখান না ঔৎসুক্যের কোন চিহ্ন ইংরেজদের সঙ্গে কথা বলার যেমনটা অধিকাংশ ভারতীয় করে। তিনি জোরে কথাও বলতেন না, তিনি আগ্রাসী ছিলেন না এবং নিজের মত অনর্থের উপর চাপিয়ে দিতেন না তাদের মতো। তিনি তার কাজ করে যেতেন ভাবলেশহীন সহজ সরল ভাবে। তুমি চলে গেলেন একটা কোণে জানালার পাশে এবং ‘দা টাইমস’ পত্রিকার একটি কপি বের করলেন। তিনি ভাঁজ করতেন পত্রিকাটিকে এমনভাবে যাতে পত্রিকাটির নামটি দ্রষ্টব্য হয় অন্যদের কাছে যখন তিনি শব্দছক কষেন। ‘দা টাইমস’ পত্রিকাটি সব সময় দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কেউ এটা (অর্থাৎ পত্রিকাটি) ধার চাইতেন যখন তিনি এটা সরিয়ে রাখতেন এই ভঙ্গিমায় যে “আমার এটা পড়া হয়ে গেছে।” হয়তো কেউ চিনে ফেলতেন তার বেলিয়ল টাইটা যেটা তিনি সব সময় পরে থাকতেন যখন ভ্রমন করতেন। ওটা খুলে দিত একটা দিগন্ত যেটা (অর্থাৎ দিগন্তটা) নিয়ে যেত একটা রূপকথার জগতে – অক্সফোর্ড মহাবিদ্যালয়, শিক্ষক, গৃহশিক্ষক, নৌকা প্রতিযোগিতা এবং রাগবি ম্যাচের সম্পর্কে। যদি দ্যা টাইমস পত্রিকাটি এবং টাইটি ব্যর্থ হত, তাহলে স্যার মোহন “কেউ আছো” বলে বেয়ারকে স্কচ জাতীয় পানীয় নিয়ে যাওয়ার জন্য ডাক দিত। হুইস্কি কখনো ব্যর্থ হয় না ইংরেজদের সঙ্গে (অর্থাৎ হুইস্কি দেখলে ইংরেজিরা কখনোই নজর এড়াতে পারেন না)। তারপর বের হতো স্যার মোহনের সুন্দর সোনার সিগারেটের বাক্সটা যেটা ইংরেজ সিগারেট দিয়ে ভর্তি। ভারতবর্ষে ইংরেজদের সিগারেট? কেমন করে তিনি এগুলি পেলেন? নিশ্চিতভাবে তিনি কিছু মনে করবেন না? এবং স্যার মোহনের বোঝাপড়াপূর্ণ মৃদু হাসি – অবশ্যই তিনি কিছু মনে করবেন না। কিন্তু তিনি কি ব্যবহার করেন ইংরেজদেরকে তার প্রিয় পুরানো ইংল্যান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে একটা মাধ্যম হিসাবে? সেই ধূসর রঙের ব্যাগ এবং ঢিলেঢালা পোশাক, খেলার পোশাক, আর মিক্সড ডবলস এর টেনিস খেলা, রাজ পরিবারের সরাইখানাযর ভিতরে বসে নৈশ ভোজ আর পিক্কাডিলিতে নিশি যাপনের পাঁচটা বছর। পাঁচ বছরের জনবহুল গৌরবময় জীবন ভারতবর্ষে ৪৫ বছরের নোংরা, অসভ্য দেশবাসীর সঙ্গে কাটিয়ে দেওয়া, সাফল্যের পথে পৌঁছানোর জন্য কুৎসিত বিস্তৃতি, উপর তলায় ঘাম ও কাঁচা পেঁয়াজের গন্ধে ভরপুর মোটা বুড়িয়ে যাওয়া লচমির কাছে তার নৈশ অভিযান এসবের – চেয়ে অনেক বেশি মূল্যবান।

স্যার মোহনের চিন্তাভাবনাগুলি ব্যাহত হয়েছিল বেয়ারর দ্বারা যে ঘোষণা করেছিল যে সাহেবের মালপত্র গুলি রাখা হয়েছে একটি প্রথম শ্রেণীর কামরাতে যেটি ইঞ্জিনের ঠিক পরেই। স্যার মোহন কামরাতে হেঁটে গেলেন পন্ডিতের ভঙ্গিমায়। তিনি হতাশ হলেন। কামরাটি ছিল ফাঁকা। দীর্ঘশ্বাস ফেলে তিনি বসে পড়লেন একটি কোণে এবং দা টাইমস পত্রিকাটি বের করলেন যেটি তিনি আগে অনেকবার পড়েছেন।

স্যার মোহন জানালা দিয়ে ভিড়ে ঠাসা প্ল্যাটফর্মের দিকে তাকালেন। তার মুখটা উজ্জ্বল হয়ে উঠল যখন তিনি দেখলেন দুজন ইংরেজ সৈন্যকে ক্লান্ত পায়ে হেঁটে আসতে, তারা জায়গার জন্য সমস্ত কামরার ভেতরে দেখছে। তাদের ছিল তাদের বড় বড় ব্যাগ যেগুলি ঝুলছিল তাদের পিছনে পিঠ থেকে এবং টলোমলো করতে করতে হাঁটছে। স্যার মোহন ঠিক করলেন তাদেরকে অভ্যর্থনা জানাতে, এমনকি যদিও তারা কেবলমাত্র দ্বিতীয় শ্রেণীর কামরায় ভ্রমণের জন্যই যোগ্য। তিনি গার্ডের সাথে কথা বলে নেবেন (এই ব্যাপারে)। সৈনদের মধ্যে একজন শেষ কামরা পর্যন্ত উঠে এলেন এবং জানালা দিকে মুখ বাড়িয়ে দেখলেন। তিনি কামরাটিকে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করলেন এবং লক্ষ্য করলেন দখল না করা বসার জায়গাটি।

“এই যে বিল”, সে চিৎকার করে বলল, “এখানে একটা”।

তার সঙ্গীও উঠে এলো, কামরার ভেতরে তাকালো এবং স্যার মোহন এর দিকে দেখল।

“কালো লোকটাকে বের করে দাও,” সে বিড়বিড় করে তার বন্ধুকে বললো।

তারা দরজাটি খুলল এবং অর্ধ হাস্যময়, অর্ধ প্রতিবাদী স্যার মোহনের দিকে ঘুরলো।

“সংরক্ষিত,” বিল চিৎকার করে বলল।

“তুমি জানো – সংরক্ষিত। সেনা ফৌজ এর জন্য (সংরক্ষিত)। জিম চিৎকার করে বলল, তার খাকি পোশাক টা দেখিয়ে।

“একদম চলে যাও – বেরিয়ে যাও!”

“আমি বলছি, আমি বলছি, নিশ্চিত ভাবে,” স্যার মোহন প্রতিবাদ করল তার অক্সফোর্ডের উচ্চারণ ভঙ্গিতে। সৈনিকরা থেমে গেল। প্রায় ইংরেজদের মতোই শুনতে লাগছে, কিন্তু তারা জানত অনেক বেশি ভালো করে তাদের মাতাল হয়ে যাওয়া কান গুলোকে বিশ্বাস করার চেয়ে। ইঞ্জিন বাঁশি বাজালো এবং ট্রেনের প্রহরী তার সবুজ পতাকা নাড়ালো।

তারা তুলে নিলো স্যার মোহনের সুটকেসটা এবং এটা ছুঁড়ে দিল প্ল্যাটফর্মের উপর। তারপর ছুঁড়ে দিল তার থার্মস ফ্লাস্ক, ব্রিফকেস, বিছানা এবং দি টাইমস পত্রিকাটি। স্যার মোহন রাগে লাল হয়ে গেল।

“অভদ্রতা, অভদ্রতা,”সে চিৎকার করে বলল, রেগে কর্কশ কন্ঠে। “আমি তোমাদের গ্রেফতার করাব – প্রহরী, প্রহরী!”

বিল ও জিম কিছুক্ষণ থেমে গেল। আরে ইংরেজির মতই লাগছে তো, তবে বড্ড বেশি রাজকীয় ইংরেজি।

“তোর ওই রাগি লাল মুখটা বন্ধ কর।” এই বলে জিম স্যার মোহনের মুখে সজোরে থাপ্পড় মারল।

ইঞ্জিন আর একটা ছোট্ট বাঁশি বাজালো আর ট্রেনটা চলতে শুরু করল। সৈনিকরা স্যার মোহনের হাত ধরে ট্রেন থেকে ঠেলে ছুড়ে দিল। তিনি পিছনের দিকে টাল খেয়ে তার বিছানার ওপর পড়ে সুটকসের উপর থিতু হলেন।

“উঃ – উঃ- উঃ!”

মাটিতে স্যার মোহনের পা আটকে গেল আর তিনি কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেললেন। তিনি দেখলেন তাকে অতিক্রম করে দ্রুতগতি বাড়িয়ে নেওয়া ট্রেন টার আলোকিত জানালা গুলি। ট্রেনের একেবারে শেষ প্রান্ত লাল আলোয় দৃশ্যমান হল আর গার্ড সাহেব খোলা দরজায় দাঁড়িয়ে রইলেন হাতে পতাকা নিয়ে।

সাধারণ শ্রেণীর মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত কামরায় তখন বসেছিলেন লছমি সুন্দরী, স্থূলাঙ্গী, তার হীরের নাকছাবিটা স্টেশনের আলোয় ঝকমক করে উঠলো। তার মুখ পানের রসে ফোলা। স্টেশন ছাড়লেই তিনি তা বাইরে ফেলবেন বলে জমিয়ে রেখেছিলেন। যেই ট্রেনটা প্লাটফর্মের আলোকিত অংশটা পেরিয়ে গেল লেডি লাল থুতু ফেললেন আর তীরের মতো পানের লালারস বাতাসে ভেসে গিয়ে ঝরে পড়ল।

নিয়মিত ভিজিট করো আমাদের ওয়েবসাইট onlineexamgroup.com মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং অন্যান্য ক্লাসের ফাইনাল পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য। প্রতিটি ক্লাসের ইংরেজি বিষয়ের সমস্ত বিষের বিস্তারিত আলোচনা সহ বাংলা মানে, সমস্ত ধরনের গ্রামার, রাইটিং, এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন পেয়ে যাও।

Share with your friends

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *